ইসলামী ব্যাংকে আগ্রাবাদ শাখায় ২ হাজার কোটি টাকার রহস্যময় তহবিলের সন্ধান!

ডেস্ক রিপোর্ট • ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ শাখায় বিদেশ থেকে আসা দুই হাজার কোটি টাকার রহস্যময় তহবিলের সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।

অফশোর ব্যাংকিং হচ্ছে বিশেষ ধরণের আলাদা ব্যাংকিং ব্যবস্থা। বিদেশি সূত্র হতে বৈদিশিক মুদ্রায় যেখানে তহবিল সৃষ্টি হয়। ২০১১ সালে ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ শাখায় চালু হয় অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট।

দুদকের নথিপত্র বলছে, ২০১৩ সালে ব্যাংকটির ওই ইউনিটে দুই হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল আসে। কোথায় থেকে এ তহবিল এসেছে তার উৎস অজ্ঞাত। পরে ওই টাকার একটি অংশ ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় স্থানান্তর করা হলেও এ টাকা কাদের অ্যাকাউন্টে গেছে তাও নিশ্চিত হতে পারেনি দুদক।

এ প্রক্রিয়াটি এমনভাবে করা হয়েছে যাকে মানি লন্ডারিংয়ের ভাষায় ‘লেয়ারিং’ বা জটিল লেনদেনের মাধ্যমে টাকার উৎস গোপন করার মতো অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়।

রহস্যময় ওই টাকার উৎসের খোঁজে এখন মাঠে নেমেছে দুদক। এরইমধ্যে কিছু নথিপত্রও পেয়েছে সংস্থাটির অনুসন্ধান টিম। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বিএফআইইউ’র (BFIU) কাছে এ বিষয়ে একটি পর্যালোচনা প্রতিবেদন চেয়েছে দুদক।

দুর্নীতি দমন কমিশনের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার গনমাধ্যমকে বলেন, এই টাকার উৎস এবং কোথা থেকে আসলো সেটি অনুসন্ধানে একটি টিম গঠন করা হয়েছে। তারা এই বিষয় নিয়ে কাজ করছে।

জঙ্গিবাদ কিংবা অপরাধমূলক কার্যক্রমের জন্য এসব অর্থ বিদেশ থেকে এসেছে কি-না তাও খতিয়ে দেখছে সংস্থাটি।

দুদক সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, কোন অবৈধ অর্থ বা সম্পদ যদি কোথাও জমা থাকে এর অনেক কারণ থাকতে পারে। আমরা সবগুলো কারণই খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। তদন্তকারি কর্মকর্তা সবকিছু মাথায় রেখেই তদন্ত করবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বিএফআইইউ-এর কাছে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছেন অনুসন্ধান টিমের প্রধান দুদকের উপ-পরিচালক আবু বকর সিদ্দিক।